ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
বিশ্বরাজনীতি এখন উত্তপ্ত ইউক্রেন ইস্যুতে। প্রায় তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোও ধীরে ধীরে নরম অবস্থান নিচ্ছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেশ সংযত ছিলেন জেলেনস্কি। তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়—যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে ভূখণ্ড ছাড় দেবেন কি না, তিনি স্পষ্ট জবাব দেন, “আমাদের যুদ্ধ বন্ধ করা প্রয়োজন। রাশিয়াকে থামানো প্রয়োজন।”
জেলেনস্কি আরও জানান, ট্রাম্পের কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাবকে ইউক্রেন সমর্থন করছে। পাশাপাশি তিনি ট্রাম্প ও পুতিনের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
এরপর ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জেলেনস্কিও ছিলেন সেই বৈঠকে।
তবে আলোচনার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থানে বড় পরিবর্তন দেখা যায়। আগে তিনি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বললেও এখন সরাসরি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না এবং ক্রিমিয়া ফিরে পাবে না।
অন্যদিকে, পুতিনের দেওয়া শর্তগুলো ইউক্রেনের জন্য একেবারেই কঠিন। সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া দখল করা কিছু অংশ ছাড়তে রাজি, তবে এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে। এতে রাজি হলে মস্কো সম্মুখসারির যুদ্ধ বন্ধ করবে। তবে জেলেনস্কি শুরু থেকেই ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছেন।
রোববার ওয়াশিংটনে পৌঁছে টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লেখেন, “রাশিয়া যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তা তাদেরই শেষ করতে হবে। আমি আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের যৌথ শক্তি রাশিয়াকে সত্যিকারের শান্তি মেনে নিতে বাধ্য করবে।”