ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সোমবার (১১ আগস্ট) ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এ ঘোষণা দেন।
এর আগে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। সবগুলো সিদ্ধান্তই সেপ্টেম্বরের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক রূপ পাবে।
আলবানিজ বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে এবং গাজার সংঘাত, দুর্ভোগ ও অনাহার শেষ করতে দুই রাষ্ট্র সমাধানই মানবতার জন্য সর্বোত্তম আশা। পৃথক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি ও স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।” তিনি আরও যোগ করেন, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করবে।
তিনি জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বস্ত করেছে যে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এই আশ্বাস পাওয়ার পরই ক্যানবেরা স্বীকৃতির পথে এগিয়েছে।
এদিকে, ফরসা ইনস্টিটিউট ফর ফরেন পলিসি জার্নাল ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স-এর এক জরিপে দেখা গেছে, জার্মানির ৫৪ শতাংশ নাগরিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ধরনের উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, “এতে শান্তি আসবে না, বরং নতুন সংঘাত শুরু হবে।” তিনি ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পদক্ষেপকে “হতাশাজনক ও লজ্জাজনক” বলে মন্তব্য করেন।
গাজার চলমান পরিস্থিতি নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন আলবানিজ। তার ভাষায়, “ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করছে এবং গাজায় যথেষ্ট ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।”
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩৫ জন ত্রাণপ্রত্যাশী। অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ জনে, যার মধ্যে অন্তত ১০০ শিশু রয়েছে। চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৪৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৫৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জানিয়েছেন, তার দেশও আগামী মাসে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।