ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। সেই পথ অনুসরণ করে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও। লাল-সবুজের কিশোরীরা প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) লাওসের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বয়সভিত্তিক এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারলেও, সমীকরণের হিসাবে মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। গ্রুপ ‘এইচ’-এর রানার্স আপ হওয়া বাংলাদেশকে রানার্স আপ পয়েন্ট তালিকায় সেরা তিনে থাকতে হতো। একই দিনে ‘ই’ গ্রুপে চীন ৮-০ ব্যবধানে লেবাননকে হারানোয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের সেরা তিনে থাকা।
৩৩টি দল নিয়ে শুরু হওয়া এই বাছাইপর্বে মোট আট গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন দলগুলো সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। এছাড়া আট রানার্স আপের মধ্যে সেরা তিন দল সুযোগ পাবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে। স্বাগতিক থাইল্যান্ডকে নিয়ে মোট ১২ দল অংশ নেবে আগামী বছরের এপ্রিলে শুরু হতে যাওয়া এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হারের আগে দুর্দান্ত ছন্দে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা—টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও ছিল তাদের। ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাংলাদেশই এগিয়ে যায় প্রথম গোলে। প্রথমার্ধে ১-১ সমতায় থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছিয়ে পড়ে পিটার বাটলারের শিষ্যারা। শেষ মুহূর্তে, ৮৭ থেকে ৯৪ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল হজম করে বড় ব্যবধানে হারে লাল-সবুজের কন্যারা।
এবারের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দল স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারায় এবং তিমুরকে উড়িয়ে দেয় ৮-০ ব্যবধানে। এই ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই তাদের এনে দিয়েছে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে খেলার সুবর্ণ সুযোগ।
বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য এটি আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন অনুপ্রেরণা যোগাবে।