ডেস্ক রিপোর্ট, সকলের কণ্ঠ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা ও জল্পনা। এক সময় গুঞ্জন উঠেছিল, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষে ছয় মাসের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। নেতৃত্বে থাকবেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল, কমিটিতে সদস্য থাকবেন ২৫ জন। তবে এই খবরকে উড়িয়ে দিয়েছেন বুলবুল নিজেই।
অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে বুলবুল ‘সমকাল’-কে জানিয়েছেন, আইসিসির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী অক্টোবরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আর সেই লক্ষ্যে বিসিবি প্রস্তুতি নিচ্ছে। জানা গেছে, ২৫ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এর ছায়া পড়ে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনেও। সে সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটায় পরিচালক থেকে প্রথমবারের মতো সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। তবে পরিচালকদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে হারান পদ। এরপর সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে।
বুলবুলের নেতৃত্বে গঠিত ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ বর্তমানে বোর্ড চালাচ্ছে। স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোর কাজও পরিচালকদের মধ্যে বণ্টন করে কার্যক্রমে গতি ফেরানো হয়েছে। এ ব্যবস্থার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের পথ তৈরি হয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদ নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন ও গরম আলোচনা। আলোচনায় উঠে এসেছে ফারুক আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল হক, মাহবুবুল আনাম এবং বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম।
তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এসব প্রার্থীর পক্ষে জয়ী হওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষ করে এনএসসি কোটায় সভাপতি হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে হতে পারে—এ আশঙ্কায় অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন। ফলে বুলবুল চাইলে এবং পরিচালকদের সমর্থন থাকলে তিনিই আবারও সভাপতি হিসেবে থেকে যেতে পারেন।
বিসিবির সভাপতি নির্বাচনের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে পরিচালক নির্বাচন।
- ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।
- ৭৬টি ক্লাব দুইটি ব্লকে বিভক্ত হয়ে ভোট দেবে।
- সম্ভাব্য দুইটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লুৎফর রহমান বাদলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই জোটের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না-ও থাকতে পারে। অন্যদিকে, বিভাগীয় ক্যাটাগরির ১০টি পরিচালক পদে বেশিরভাগ জায়গায় বিএনপি-ঘনিষ্ঠ ক্রিকেট সংগঠকরা জয়ের সম্ভাবনায় রয়েছেন।