ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে একটি মহিলা মাদ্রাসার ১০ বছর বয়সী আবাসিক ছাত্রীকে ধ/র্ষ/ণের চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষক ও পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের এনায়েতপুর বৈল্লাবাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক মৌলভী ওবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এনায়েতপুর পালপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। একই মামলায় ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বড় ভাই মোহাম্মদুল্লাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ একাধিকবার ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে অ/নৈ/তিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা চালাতেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দেড় বছর আগে হেফজ বিভাগে ভর্তি হওয়া ওই শিশুটি মাদ্রাসায় আবাসিকভাবে থেকে পড়ালেখা করছিল। গত ২৭ জুলাই সকালে শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ তাকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান এবং চোখ বেঁধে গোপন ভিডিও ধারণ করেন। পরে তাকে চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করার পাশাপাশি ধ/র্ষ/ণের চেষ্টা করেন।
তবে সাহসিকতার সঙ্গে মেয়েটি কান্নাকাটি করে চোখের বাঁধন খুলে কৌশলে দৌড়ে আবাসিক রুমে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দেয়। ২৮ জুলাই ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ছাত্রীটি বিষয়টি তার মাকে জানায়।
পরবর্তীতে বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালক মোহাম্মদুল্লাহকে জানানো হলে তিনি অভিযুক্ত ভাই ওবায়দুল্লাহকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন বলে অভিযোগ উঠে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ মাদ্রাসার ওয়াশরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ছাত্রীদের ভিডিও ধারণ করতেন এবং জি/নের ভয় দেখিয়ে অ/নৈ/তিক সম্পর্কে জড়াতে চেষ্টা করতেন। এর আগেও প্রায় ১০-১২ জন ছাত্রীকে তিনি এভাবে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ করার পরও পরিচালক মোহাম্মদুল্লাহ এসব ঘটনা বারবার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
এলাকাবাসী এই ধরনের নৃশংস ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, “আমার মেয়ের মতো আরও অনেক মেয়ে এই শিক্ষক ও তার ভাইয়ের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমি চাই, তারা যেন আর কোনো ছাত্রীর জীবন নষ্ট করতে না পারে।”
ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, “মামলার ভিত্তিতে শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ এবং তার বড় ভাই মোহাম্মদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”