ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
৫ আগস্ট ২০২৫, রাঙামাটি:
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছেছে। ফলে প্লাবন রোধে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে স্পিলওয়ের ১৬টি গেট খুলে পানি নির্গমন শুরু করেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, প্রতি গেট ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়েছে, যাতে করে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “পানি ছাড়ার ফলে নদীর তীরবর্তী কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ ফুট এমএসএল, যেখানে বাঁধের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। বর্তমানে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে মোট ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি বাড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তবে “ভয়ের কিছু নেই” বলেও আশ্বস্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।