ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
ঢাকা, ৫ আগস্ট:
গত বছরের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং ৭৩ জন সাবেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাত সাড়ে ৩টায় সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হামলাকারীদের সংখ্যা ২২৯, অধিকাংশই ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট
উপাচার্য জানান, তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে মোট ২২৯ জন ব্যক্তি হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৩০ জন বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী এবং ৯৯ জন সাবেক। অভিযুক্তদের অধিকাংশই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
আজীবন বহিষ্কার ও অন্যান্য শাস্তি
বর্তমান ১৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৪ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া
- ৩৭ জনকে ২ বছরের জন্য,
- ৮ জনকে ১ বছরের জন্য,
- এবং ১ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাবেক ৯৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জনের শিক্ষাসনদ চিরতরে বাতিল করা হয়েছে এবং অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৬ জনের সনদ ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
বহিরাগত ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট আইসিটিতে
গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনের আওতায় না পড়ায় এদের বিচার আমরা করতে পারি না। তবে তাদের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে (ICT) তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।”
৪০ শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি, প্রশ্ন উঠলেও ব্যাখ্যা স্পষ্ট নয়
তদন্তে অভিযুক্ত ৪০ জন শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন বর্তমান এবং ২০ জন সাবেক শিক্ষার্থী। অব্যাহতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও উপাচার্য মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে অধিকতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিও ফুটেজ ও স্বাক্ষ্য বিশ্লেষণেও তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে