শুকনো ফলের মধ্যে কিশমিশের জনপ্রিয়তা সবার উপরে। ডেজার্ট কিংবা মিষ্টি খাবারে এক চিমটি কিশমিশই স্বাদ বাড়িয়ে তোলে কয়েকগুণ। তবে শুধু স্বাদই নয়, শরীর সুস্থ রাখার দিক থেকেও কিশমিশ এবং এর পানি অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম মেনে কিশমিশের পানি খেলে শরীরের বহু সমস্যা থেকে মিলতে পারে মুক্তি।
👉 কিশমিশের পানি তৈরির পদ্ধতি
এক গ্লাস পানিতে ২০ মিনিট কিশমিশ ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঠান্ডা করে সারারাত রেখে দিন। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে মিলবে অসাধারণ উপকারিতা।
✅ কিশমিশের পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. কোষ্ঠকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি দূর করে
যাঁরা নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য কিশমিশের পানি কার্যকর। প্রতিদিন সকালে এই পানি খেলে অন্ত্র পরিষ্কার থাকে এবং পেট থাকে হালকা।
২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কিশমিশের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. ত্বকের বলিরেখা হ্রাস করে
ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ কিশমিশের পানি ত্বকের বয়সজনিত ছাপ কমাতে কার্যকর। নিয়মিত পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও তরুণ দেখায়।
৪. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
হজমজনিত সমস্যা যেমন গ্যাস, অম্বল বা হঠাৎ পেট ভার– এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিশমিশের পানির জুড়ি নেই।
৫. লিভার ও মেটাবলিজম উন্নত করে
কিশমিশের পানি নিয়মিত খেলে লিভার পরিষ্কার হয় এবং শরীরের বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) ঠিকঠাক কাজ করে।
📌 বিশেষ পরামর্শ:
কিশমিশের পানির স্বাস্থ্যগুণ অনেক, তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিদিন ২০–৩০টি কিশমিশ যথেষ্ট। নিয়মিত খাওয়ার আগে ডায়াবেটিস বা যকৃৎজনিত সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।