সকলের কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট |
গাজা উপত্যকায় দ্রুত অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রতিদিন না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে শুক্রবার (১ আগস্ট) সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে ইউনিসেফ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটির মানবিক সহায়তা ও সরবরাহ কার্যক্রমের উপ নির্বাহী পরিচালক টেড চাইবান বলেন, ‘গাজায় বর্তমানে ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় অপুষ্টির হার এখন দুর্ভিক্ষের সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি—এই মুহূর্তে গৃহীত সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচবে, নাকি হারিয়ে যাবে।’
শুক্রবারের এই বিবৃতির একদিন পর, শনিবার (২ আগস্ট) গাজার আল-শিফা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী কিশোর আতেফ আবু খাতের অপুষ্টিতে মারা গেছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর আগে সে সুস্থ থাকলেও গত সপ্তাহে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার বাবা জানান, ‘চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না ছেলেটি। কিছু করারও ছিল না।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৬২ জনের, যাদের মধ্যে ৯২ জনই শিশু।
এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।