ডেস্ক রিপোর্ট, সকলের কণ্ঠ
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার মিছিল যেন থামছেই না। সর্বশেষ ঘটনায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে মন্টানা অঙ্গরাজ্যের অ্যানাকোন্ডা শহরের একটি বারে চালানো ম্যাস শ্যুটিংয়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। হামলার পর থেকে সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মাইকেল পল ব্রাউন এখনো পলাতক রয়েছেন।
নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর বাসা ঘটনার স্থান থেকে অদূরেই, তবে কী কারণে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে—সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।
হামলার পরপরই মন্টানা রাজ্য পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পলাতক হামলাকারীকে ধরতে চলছে ব্যাপক অভিযান, এবং অ্যানাকোন্ডা শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, গত সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউতে আরেকটি ভয়াবহ বন্দুক হামলায় নিহত হন ৩৬ বছর বয়সি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। ওই হামলায় আরও তিনজন প্রাণ হারান। পরে হামলাকারী শ্যেন ডেভন তামুরা (২৭) নিজেই আত্মহত্যা করে।
জনগণের অস্ত্রধারণের অবাধ সুযোগ ও সহিংসতা ঠেকাতে পর্যাপ্ত আইন না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার হার বেড়েই চলেছে।
‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’-এর সাম্প্রতিক তথ্যমতে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৫৪টি ম্যাস শ্যুটিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শত শত মানুষ, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ধরনের ঘটনার বিচার ও প্রতিরোধে কার্যকর আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।