মনিরামপুরে আবাসিক হোটেলে অভিযান, চাকু-নকল পিস্তলসহ আটক ৪
ডেস্ক রিপোর্ট // সকলের কন্ঠ : ০১/০৮/২০২৫ ইং
যশোরের মনিরামপুরে অবস্থিত ‘রজনী নিবাস’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে খেলনা পিস্তল ও ধারালো অস্ত্রসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানের সময় হোটেলটির পরিচালনাকারী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়। পুলিশ তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে মনিরামপুর পৌর শহরের গরুহাট মোড়ে এ অভিযান চালানো হয়। মনিরামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে অভিযান শুরু হয় এবং তা চলে রাত ১টা পর্যন্ত। আটক যুবকরা হলেন—গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুরের টুটুল, কদমবাড়িয়ার সাইফুল ইসলাম এবং খেদাপাড়ার আবু সিনহা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই চারজন হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে একটি নকল নাইন এমএম পিস্তল, একটি ধারালো চাকু এবং কয়েক বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শন করে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হুমায়ুনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোটেলটির মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাউসুল মোস্তাক। দীর্ঘদিন ধরে তার মালিকানাধীন ‘রজনী নিবাস’-এ রাতভর মাদক সেবন, অসামাজিক কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসীদের আড্ডা চলছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে তার ছেলে ফয়সাল হুমায়ুন সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, “আমরা আগেই প্রশাসনের নজরে এনেছিলাম এই হোটেলে চলা অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়টি। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে কঠোর হতে হবে।”
এ বিষয়ে হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাক জানান, “আমার ছেলে একসময় মাদকে জড়িয়ে পড়েছিল, তবে এখন সে নিজেকে পরিবর্তন করেছে।”
তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, “আমরা চাই, সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন—তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। দলীয় পরিচয়ে কেউ যেন রেহাই না পায়।”