ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫ | সময়: সকাল ১১:৪৫
বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিশ্বের অন্যতম প্রধান রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশ নতুন করে সুবিধা পেল। এর ফলে তৈরি পোশাকসহ প্রধান রপ্তানি খাতগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য প্রতিযোগিতামূলকভাবে মার্কিন বাজারে প্রবেশের পথ আরও সুগম হলো।
হোয়াইট হাউস থেকে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দেওয়া এক ঘোষণায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশসহ অন্তত ২৫টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক হার নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্কহার
নতুন ঘোষণায় দেখা গেছে—
ভারত ও ভিয়েতনাম: ২০%
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান: যথাক্রমে ২০% ও ১৯%
মিয়ানমার: সর্বোচ্চ ৪০%
মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া: ১৯% করে
আফগানিস্তান, ব্রাজিল, কঙ্গো, চাদ, গিনি, ক্যামেরুন, আইভরি কোস্ট: ১০%-১৫%
এর আগে ২ এপ্রিল হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। পরবর্তীতে তা সামান্য কমিয়ে ৩৫ শতাংশে নামানো হয় এবং নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার সময় ৯ জুলাই থেকে পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়।
এই বাড়তি শুল্কের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের (USTR) সঙ্গে তিন দফায় বৈঠকে বসে বাংলাদেশ। চূড়ান্ত দফার আলোচনা হয় ৩০ ও ৩১ জুলাই ওয়াশিংটনে, যেখানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
পরিশেষে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণে সম্মত হয়। এই সাফল্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়নের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ২৫টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দেয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “এ অর্ডারের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা ও কৌশলগত বাণিজ্য নীতির একটা যোগসূত্র রয়েছে।”
এর আগে বাংলাদেশ ১৪টি বোয়িং কেনার অর্ডার দিয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে একদিকে যেমন বাংলাদেশ বিমানের বহর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ চুক্তির অগ্রগতি জড়িত বলে তিনি উল্লেখ করেন।