ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের অন্তত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দ্য হিন্দুসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা আইন লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাত দিয়ে জানা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে, সেগুলো হলো:
- Alchemical Solutions
- Jupiter Dye Chem
- Global Industrial Chemicals
- Ramnkilal S Gosalia and Company
- Persistent Petrochem
- Kanchan Polymers
মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে। এদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানাধীন সহযোগী কোম্পানিগুলোও একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ এবং বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগী নেটওয়ার্ককে দমন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক ইরানি পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।
শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়েই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। তিনি আরও ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে। একইসঙ্গে, রাশিয়া থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ভারতকে ‘শাস্তি’ দেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা শুল্ক আরোপ ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ধাক্কা হতে পারে। পাশাপাশি, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব রাজনীতির এই দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আগামী দিনে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখোমুখি হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।