পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান লাহোর হাইকোর্টের জামিন প্রত্যাখ্যানের আদেশের বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন। ২০২৩ সালের ৯ মে’র সহিংসতা–সংশ্লিষ্ট এক মামলায় জামিন না পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেন তিনি।
রবিবার (২৭ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা আপিলে বলা হয়, সরকার ইমরান খানকে ওই সহিংসতার ষড়যন্ত্রে জড়িত প্রমাণ করতে তিনটি ভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন করে, যেগুলোর একটিও আদালতে টিকতে পারেনি।
ইমরানের আইনজীবী সালমান সাফদার জানান, প্রথমে সরকার দাবি করেছিল, ৭ মে জামান পার্কে এক পুলিশ কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রের কথা শুনেছেন। দ্বিতীয়বার বলা হয়, ৪ মে চাকরি রেস্ট এরিয়ায় আরেক পুলিশ কর্মকর্তা নাকি ষড়যন্ত্রের আলামত পেয়েছেন। পরে আবার বলা হয়, ইমরান খান মিডিয়ার মাধ্যমে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ পাকিস্তানের লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত এবং হাইকোর্টে বিভিন্ন সময়ে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এমনকি একই মামলার সহআসামি বুশরা ইমরান ও এজাজ চৌধুরীকেও আদালত জামিন দিয়েছেন।
ইমরান খানের বোন আলিমা খান এক বিবৃতিতে জানান, আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করে রেখেছে, যাতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিলে বাধা সৃষ্টি হয়।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইমরান খান গত দুই বছর ধরে ‘অভূতপূর্ব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’। একাধিক মামলায় তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চলছে।