ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করেছে সরকার। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক-কে সভাপতি করে এই তদন্ত কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—
জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান,
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম,
২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী,
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক সরদার নূরুল আমিন এবং
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী।
২৫ জুলাই (শুক্রবার) প্রকাশিত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, এই কমিশনকে গোপালগঞ্জের ওই ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করা, রাজনৈতিক জনসভায় হামলার পেছনে দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শনাক্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সহিংসতার সময় জেলা কারাগার ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনায় হামলা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয় বিশ্লেষণ করে কমিশন মতামত প্রদান করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশও পেশ করবে।
কমিশন গঠন করা হয়েছে ‘দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬’-এর সেকশন ৩ এর আওতায়। এই কমিশন প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন, সুপারিশ ও মতামতসহ জননিরাপত্তা বিভাগে দাখিল করবে।
সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যেকোনো ব্যক্তিকে তদন্তে সহায়তার জন্য নিয়োগ দিতে পারবে। এছাড়াও কমিশন প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তের সুযোগও পাবে। কমিশনকে সাচিবিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।