ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমেই যুদ্ধাবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। তিনি জানান, কম্বোডিয়া একাধিক দিক থেকে আক্রমণ চালিয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে ফুমথাম বলেন, “চলমান সংঘাত এখন ভারী অস্ত্রের মুখোমুখি সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। এটি আর কেবল সীমান্ত দ্বন্দ্ব নয়— এটি সরাসরি সামরিক উত্তেজনার দিকে যাচ্ছে।”
অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্যোগে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, আসিয়ান (ASEAN) জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রস্তাবে তিনি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। তার দাবি, প্রথমে থাইল্যান্ডও সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক ঘণ্টা পরেই তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে, যা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন হুন মানেত।
পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রাতেই এক বিবৃতি দেয় থাইল্যান্ড সরকার। তাতে জানানো হয়, তারা যুদ্ধবিরতির ধারণাকে “নীতিগতভাবে সমর্থন” করে এবং সমগ্র বিষয়টি মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে তারা মনে করে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে হলে “মাঠ পর্যায়ে উপযুক্ত পরিস্থিতি” তৈরি হওয়া জরুরি।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ এক পোস্টে জানায়, “সারাদিন ধরে কম্বোডিয়ার বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ সৎ উদ্দেশ্যের অভাব প্রকাশ করে এবং এটি সাধারণ মানুষের জীবনের জন্য সরাসরি হুমকি।”
এদিকে ব্যাংককের দুই জ্যেষ্ঠ কূটনৈতিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং চীন শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে থাইল্যান্ড এখনো সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পথকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলে আসছে। এবার তা হঠাৎ করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় গোটা অঞ্চলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: রয়টার্স