১৭জুলাই ১১.০৫, আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার বড় ধরনের রাজনৈতিক চাপে পড়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী অতি-অর্থডক্স ইহুদি দল শাস পার্টি জোট সরকার থেকে পদত্যাগ করেছে। এর ফলে ইসরায়েলি সংসদ নেসেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট। খবর আল জাজিরার।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে শাস পার্টি জানায়, ইহুদি শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্তির আইন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্বের জেরে তারা সরকার ত্যাগ করেছে। দলটি স্পষ্ট করে জানায়, ধর্মীয় শিক্ষা ও জীবনব্যবস্থার কারণে তাদের সমর্থক অতি-অর্থডক্স তরুণদের জন্য সেনা সেবায় ছাড় প্রয়োজন।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই আরেকটি অতি-অর্থডক্স দল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ফলে এখন নেতানিয়াহু কার্যত একটি সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনা করছেন—যা তার প্রশাসনের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলে নাগরিকদের জন্য আবশ্যিক সামরিক সেবা চালু থাকলেও, অতি-অর্থডক্স সম্প্রদায়ের সদস্যরা ধর্মীয় কারণে বরাবরই এর বিরোধিতা করে এসেছে। তারা দাবি করে, ধর্মচর্চা ও শিক্ষার সুযোগ বজায় রাখতে সামরিক সেবা থেকে তাদের ছাড় দেওয়া উচিত।
এই ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা বাড়ছিল। সরকার ও অতি-অর্থডক্স দলগুলোর মধ্যে চলতে থাকা এই টানাপোড়েনেরই সর্বশেষ পরিণতি হলো শাস পার্টির জোটত্যাগ।
তবে দলটি বলেছে, তারা সরকার থেকে বেরিয়ে গেলেও নেতানিয়াহুর জোটের পতনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবে না। বরং নির্দিষ্ট কিছু আইন ও ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে সংসদে সমর্থন দিতে পারে বলেও জানিয়েছে দলটি।
শাস পার্টির পদত্যাগের পরপরই ইসরায়েলের একটি প্রধান বিরোধী দলের নেতা একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু এখন একটি ‘অবৈধ সংখ্যলঘু সরকার’ পরিচালনা করছেন। এই সরকার গাজা যুদ্ধ পরিচালনা বা সৌদি-সিরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মতো কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার বৈধতা রাখে না।”