ঝিনাইদহ করেসপনডেন্ট || ১৩ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন মোল্লাকে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) পরিচয়ে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) ভোররাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় শামীম হোসেন মোল্লাকে। ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, শনিবার (১২ জুলাই) রাতে শামীম হোসেন মোল্লা তার সিএনজি গ্যাস পাম্পে অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে করে একদল লোক সেখানে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, অপহরণকারীরা শামীম মোল্লার পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ, প্রায় ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি জানার পর ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম উদ্ধার অভিযানে নামে। ভোররাতের দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে শামীমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় এবং চারজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়। বর্তমানে তাদের শৈলকুপা থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপহরণ থেকে মুক্ত হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের শামীম হোসেন মোল্লা বলেন,
> “শনিবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ফেরার পর আমি আমার গ্যাস পাম্পে বসেছিলাম। রাত ১১টার দিকে দুইটি মাইক্রোবাসে কয়েকজন ব্যক্তি এসে ডিবি পরিচয়ে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে নানা পথ ঘুরে অজানা এক স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তারা আমার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে—এমন খবর পেয়েছি। পুলিশের সহযোগিতায় আমি নিরাপদে বাড়ি ফিরেছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই অপহরণচক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে একই কায়দায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে জড়িত থাকতে পারে। আটককৃতদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানানো হবে।
মূল তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
অপহরণ: আওয়ামী লীগ নেতা শামীম হোসেন মোল্লা
স্থান: শৈলকুপা, ঝিনাইদহ
উদ্ধার: ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা
অপহরণকারীর সংখ্যা: ৪ (আটক)
মুক্তিপণ দাবি: ৫০ লাখ টাকা
পরিচয়: ডিবি পুলিশ সেজে অপহরণ