সংবাদ প্রতিবেদন:
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের সঙ্গে প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর ফলে কাতারের রাজধানী দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা কার্যত থেমে গেছে বলে জানাচ্ছে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র।
এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি কাতারি প্রস্তাব, যার মাধ্যমে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে সাময়িক বিরতি এবং কিছু ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে, মূল জটিলতা তৈরি হয়েছে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা কতটা পরিমাণে প্রত্যাহার করা হবে—তা নিয়ে। এই ইস্যুতে মতানৈক্য দূর করতে না পারায় প্রস্তাবটি এগোয়নি।
ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় সমর্থন থাকলেও, হামাস জানিয়েছে, এই প্রস্তাবে তাদের মূল দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার না হলে দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধবিরতির বাস্তব কোনো মূল্য থাকবে না বলে মনে করে তারা।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরের মাধ্যমে কেবল সময়ক্ষেপণ করছেন। পাশাপাশি দোহায় এমন একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন, যাদের হাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের এই প্রত্যাখ্যানের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ধাক্কা লাগলো। একইসঙ্গে গাজায় চলমান মানবিক সংকটও আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান এই সংঘাত ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে এবং গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধবিরতির আশায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন এগিয়ে আসছিল, তখন এই অচলাবস্থা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।