ফেনী প্রতিনিধি | ১৩ জুলাই ২০২৫
ফেনীতে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করায় প্লাবন পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে পানি সরলেও জেগে উঠেছে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, খেতখামারসহ মানুষের জীবনে রেখে গেছে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব।
রবিবার (১৩ জুলাই) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনো আংশিক প্লাবিত মুন্সিরহাট, দরবারপুর এবং আনন্দপুর ইউনিয়নের কিছু ঘরবাড়ি। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমলেও স্বস্তি ফেরেনি পুরোপুরি।
নোয়াপুর গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সিলোনিয়া নদীর ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকছে। নদী ভাঙনের শঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী।
ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর এবং দাগনভূঞা উপজেলার প্লাবিত গ্রামগুলোতেও পানি নামতে শুরু করেছে। রাস্তায় কাদা, ভাঙা সড়ক আর ডুবে যাওয়া ঘরের চিহ্ন এখন স্পষ্ট। অনেক জায়গায় দেখা গেছে গৃহপালিত পশু-মুরগির মৃতদেহ ও খাদ্য সংকটের করুণ চিত্র।
পরশুরাম উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা থেকে ইতোমধ্যে পানি সরে গেছে। কিন্তু বন্যার দগদগে ক্ষত চিহ্ন করে দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মুখে হতাশা। ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে থাকায় কৃষকদের মাথায় হাত।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে বলেও জানানো হয়।