খুলনা প্রতিনিধি: চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “যেভাবে জনগণ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল, সেভাবেই চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও রাজপথে নামতে হবে। খুলনাবাসী প্রস্তুত থাকুন, আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে।”
শুক্রবার (১১ জুলাই) খুলনার শিববাড়ী মোড়ে দলটির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা বলেছিলাম, নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু তারা ভেবেছে চাঁদাবাজির স্বাধীনতা পেয়েছে। যদি এমনটি ভেবে থাকে, তাহলে সেটা সম্পূর্ণ ভুল। একে একে খুলনার শিল্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল—সেগুলো আবার চালু করতে হবে। পাটকলগুলো সচল করতে হবে এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করে ভারতের সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা তা হতে দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে গণঅভ্যুত্থান এখনো অসমাপ্ত। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা চালিয়ে যেতে হবে। যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, আমাদের দাবি-আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।”
গণতন্ত্র ও সংস্কারের দাবিতে এনসিপির একক অবস্থান
অনুষ্ঠানে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের জনগণকে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। এটা আমরা কোনোভাবেই সফল হতে দেব না। দেশের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে হলে অবশ্যই সংস্কার দরকার। না হলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত মত প্রকাশ সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের ভিত্তি সংস্কারেই নিহিত। তাই আমরা সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলছি, না হলে সবই প্রহসন হয়ে থাকবে।”
আওয়ামী লীগে ‘নতুন ঠিকাদার’দের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বর্তমানে কিছু মানুষ নতুন করে মুজিববাদের ঠিকাদার হয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদকে ধারণ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। কিন্তু এ অধ্যায়ের ইতি ঘটবে—কারণ শেখ হাসিনা জনগণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “খুলনা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। এখান থেকেই সরকারের পতনের সুর বেজে উঠবে।”