ঢাকা, ৪ জুলাই:
দেশজুড়ে বাম্পার ফলন হলেও থামছে না চালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা। রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে মিনিকেট, বিআর-২৮, পাইজামসহ সব ধরনের চালের দাম এক লাফে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে করে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেটের প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে বিআর-২৮ এবং পাইজাম চালের দাম বেড়েছে ২০০ টাকার মতো। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। মাঝারি মানের যেকোনো চালের জন্যও ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ঈদুল আজহার পর থেকেই চালের বাজার অস্থির। অথচ বাজারে সরবরাহে ঘাটতি নেই, বরং এবার ধান ও চালের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়েও ভালো হয়েছে। তাদের দাবি, মিল পর্যায় থেকেই অকারণে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং জেলা খাদ্য বিভাগ যৌথভাবে সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এর কার্যকর প্রভাব বাজারে এখনো দৃশ্যমান নয়। রাজধানীর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারের মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে মিলগেট এবং পাইকারি আড়তের হাতে। তাই সেসব স্থানে কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি তাদের।
চালের দাম বাড়ার ফলে ভোক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র কেনাকাটায় চাপ অনুভব করছেন। একজন ক্রেতা বলেন, “আগে যেখানে ৫০০ টাকায় সপ্তাহের চাল হয়ে যেত, এখন সেখানে ৮০০ টাকাও কম পড়ে। এভাবে আর কতদিন চলবে?”
খাদ্য বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন বেশি হলেও চাল মজুত ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা এবং সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে এই অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তারা মনে করছেন, মিল পর্যায়ে কঠোর নজরদারি এবং ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা গেলে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।