আইনে পরিণত হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন দরিদ্র ও শ্রমজীবী আমেরিকানরা
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করা ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ শেষ পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে। টানা ২৯ ঘণ্টার বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্থানীয় সময় ২১৮-২১৪ ভোটে বিলটি পাস করে প্রতিনিধি পরিষদ।
কর ও ব্যয় সংকোচনের বিষয়ে প্রণীত এই বিলটিকে ঘিরে তীব্র বিরোধিতা দেখা যায় উভয় দলেই। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটিক পার্টির ২১২ জন সদস্যই বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন। পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টিরও দু’জন সদস্য এতে বিরোধিতা করেন।
বিলটি নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকানদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা যায়। তবে শেষ মুহূর্তে পাস হওয়ায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় এক আনুষ্ঠানিক আয়োজনে তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন। স্বাক্ষরের পর বিলটি আইনে পরিণত হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্র, নিম্ন আয়ের ও শ্রমজীবী জনগণ। বিলটির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণমূলক খাতে ব্যয় হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) সিনেটেও বিলটি পাস হয় মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে। ৫১-৫০ ভোটে গৃহীত হয় বিলটি, যেখানে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের টাই-ব্রেকিং ভোটে জয়ী হয় সরকার পক্ষ।
‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক ও জনমত বিভাজন। এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর আইনটি বাস্তবায়িত হলে এর প্রভাব কতটা গভীর হয় সাধারণ মানুষের জীবনে।