ঢাকা, ২ জুলাই ২০২৫:
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগ ঘিরেই এ তদন্ত চালানো হচ্ছে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াৎ ঢাকা অফিসে এ জিজ্ঞাসাবাদ পরিচালনা করেন। হাজির হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন—ইসির উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার এবং তৎকালীন সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন থেকে সর্বমোট ছয়জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
দুদকের অনুসন্ধান বলছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারি আর্থিক বিধিমালা লঙ্ঘন করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ইভিএম কিনেছেন। বাজারদরের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি দামে, প্রতি ইউনিট ইভিএম দেড় লাখ টাকা মূল্যে কেনা হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি, যার ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
দুদকের দাবি, ইভিএম কেনার পেছনে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পদ্ধতিগত দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এর সত্যতাও মিলেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। প্রয়োজন হলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।