কিয়েভ, ২৯ জুন ২০২৫ — পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের লক্ষ্যে ব্যাপক সেনা সমাবেশ করছে রাশিয়া। শহরটির আশপাশে ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি।
শুক্রবার কিয়েভে এক বিবৃতিতে সিরস্কি বলেন, পোকরোভস্ক ও এর পার্শ্ববর্তী প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সম্মুখসারির অংশ বর্তমানে সবচেয়ে উত্তপ্ত যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। গত এক বছর ধরে রুশ বাহিনী ধারাবাহিক আক্রমণের মাধ্যমে শহরটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনো শহরটি দখলে নিতে পারেনি তারা।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পোকরোভস্ক দখল করতে পারলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করতে পারবে মস্কো। এই দুই অঞ্চলকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করেছেন এবং সেগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যের কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।
যদিও পোকরোভস্ক বড় কোনো শহর নয়, তবে এর কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ সড়ক ও রেলপথের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা রাশিয়ার দখলে থাকা অন্য সামরিক ঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ হাজার।
এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহে পূর্ব ফ্রন্টে রাশিয়ার হামলা আরও তীব্র হয়েছে। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্থল আক্রমণের মাধ্যমে একের পর এক ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা লাইন ভাঙার চেষ্টা করছে তারা। খারকিভ, দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও সংঘর্ষ চলছে তীব্রভাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানবশক্তি ও অস্ত্রের ঘাটতি মোকাবিলা করে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ গড়ে তোলা। পশ্চিমা সহায়তা ধীরগতিতে আসায় চাপ আরও বেড়েছে কিয়েভের ওপর।
রাশিয়ার এই নতুন সামরিক কৌশল এবং সেনা সমাবেশ ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ গতিপথে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: নাজিম মিয়া
হাদী মিডিয়া, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত।
ই-মেইল: info@sokolerkantho.com