সংবাদ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলোচনা ও জল্পনা। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা এই নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মাঝেও বিরাজ করছে ব্যাপক কৌতূহল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান—এমনটাই আশা করছেন শীর্ষ নেতারা।
২০০৮ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ২০১৮ সালে কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে দলের নেতৃত্ব কার্যত নিজের কাঁধে তুলে নেন। যুক্তরাজ্য থেকেই দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কেন্দ্র ও তৃণমূলের মধ্যে সমন্বয় করছেন তিনি।
দলের অভ্যন্তরে সংস্কার ভাবনা, আন্দোলনের দিকনির্দেশনা এবং ৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে—দূরে থেকেও তিনি দলের প্রতিটি সিদ্ধান্তে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখছেন। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে সেজন্য একটি সহনীয় রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হওয়া জরুরি।
দলটির একজন তৃণমূল কর্মী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানকে ফিরে পেতে চায়। আমরা চাই, তিনি দ্রুত দেশে ফিরে আসুন এবং আমাদের আন্দোলনের অংশ হোন।”
আরেকজন কর্মীর ভাষায়, “তিনি দেশের মানুষের আবেগ ও চাহিদা বুঝতে পারেন। তাঁর উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিএনপিকে এত চাপ ও ষড়যন্ত্রের পরও কেউ ভাঙতে পারেনি। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশব্যাপী আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এমন একটি পরিবেশ তৈরির, যেখানে তিনি নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারেন।”
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নানান ষড়যন্ত্র ও বাধা সত্ত্বেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আমরা আশাবাদী। আগামী নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আমরা অংশগ্রহণ করব।”
আইনজীবীরা জানান, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা বেশিরভাগ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। ফলে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আইনি কোনো বড় বাধা নেই। এখন কেবল অপেক্ষা, একটি অনুকূল সময় ও নিরাপদ পরিবেশের।