গাজা, ১৮ মে — মার্কিন নাগরিক আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ ও যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সাথে প্রতারণা করেছে, আর সেই প্রতারণার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ।
বাসেম নাইম জানান, আলেক্সান্ডারের মুক্তির আগে উইটকফ হামাসকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তরুণ জিম্মিকে মুক্তি দিলে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গাজায় অবরোধ তুলে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে মাত্র দু’দিনের মধ্যেই ত্রাণ প্রবেশের পথ খুলে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ট্রাম্প সরাসরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন এবং স্থায়ী শান্তিচুক্তির আলোচনায় উদ্যোগ নেবেন বলেও দাবি করেন নাইম।
“তারা শুধু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই করেনি, বরং পুরো চুক্তিকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেছে,” ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন হামাস নেতা।
মার্কিন অনলাইন গণমাধ্যম ড্রপ সাইট-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাসেম নাইম এ দাবি করেন। তিনি বলেন, আলেক্সান্ডারের মুক্তির পরও এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করেনি, এমনকি যুদ্ধবিরতির দিকেও কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের নানা প্রচেষ্টা চললেও, প্রায়শই তা ভেস্তে যাচ্ছে ইসরায়েলি হামলার কারণে। গত জানুয়ারিতে একবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও, ১৮ মার্চ তা লঙ্ঘন করে পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
বর্তমানে কাতারে আবারও হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়। তবে ওয়াশিংটনের প্রতি হামাসের আস্থাহীনতা এই আলোচনা জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।