ইসলামাবাদ, ১৫ মে:
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বৃহস্পতিবার সিনেটে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন।
ইসহাক দার জানান, ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে অবহিত করেন যে, ভারত যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী। তখন পাকিস্তানের তরফ থেকে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকায় ইসলামাবাদও এতে সম্মতি জানায়।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “পাকিস্তান কোনো পক্ষকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়নি। বরং আমরা কূটনৈতিক সংলাপ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পক্ষে।”
এর আগে, ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ডিজিএমওদের (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন) মধ্যে হটলাইনে যোগাযোগ হয়। এতে উভয় পক্ষ ১৪ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আরও চার দিন বাড়িয়ে ১৮ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত একটি রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে সামরিক অভিযান চালায়। এতে পাকিস্তানে বহু বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস হয়। এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ পরিচালনা করে, যাতে ভারতের অন্তত ২৬টি সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করে ইসলামাবাদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ইঙ্গিত দেন, খুব শিগগিরই ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সংলাপে বসতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কূটনৈতিক আলোচনা আবারও শুরু হতে পারে এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।