নয়াদিল্লি, ১৩ মে:
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলিং শুরু হয়েছে। কটূক্তির শিকার হয়েছেন শুধু মিশ্রি নন, তার একমাত্র কন্যা ডিডন মিশ্রিও। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক্স (সাবেক টুইটার)-এ মিশ্রিকে ‘গদ্দার’ (বেইমান) ও ‘দেশদ্রোহী’ বলে আক্রমণ করেছেন অনেকেই। ব্যক্তিগত আক্রমণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ডিডন মিশ্রির ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরও ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের ‘নির্লজ্জ পরিবার’ বলেও উল্লেখ করেছেন কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জেরে বিক্রম মিশ্রি তার এক্স হ্যান্ডেল প্রাইভেট করে দিয়েছেন। ফলে এখন কেউ আর বাইরের থেকে মন্তব্য করতে পারছেন না তার পোস্টে।
এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এক দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “এ ধরনের আক্রমণ একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার মনোবল ভেঙে দিতে পারে, যিনি দিনরাত দেশের সেবায় নিয়োজিত।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত একজন কর্মকর্তার নয়, সরকারের। কিছু অসামাজিক গোষ্ঠী সীমা ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করছে। দুঃখজনকভাবে বিজেপি সরকার কিংবা তাদের কোনো মন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, এমনকি ন্যূনতম প্রতিবাদও করছেন না।”
ভারতের কূটনৈতিক মহলে এই ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শালীনতা রক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।