ঢাকা, ১০ মে:
আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন (আইসিটি) সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সংশ্লিষ্ট সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।”
আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল
তিনি আরও জানান, “আওয়ামী লীগ এবং এর নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির যাবতীয় অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।”
আইন উপদেষ্টা জানান, সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য একটি পরিপত্র আগামী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে সাইবার মাধ্যমে দলটির সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’
আজকের বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে জাতির সামনে উপস্থাপনের প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।
এই ঘোষণাপত্রে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণআন্দোলনের চেতনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তগুলোর মাধ্যমে সরকার দেশের স্থিতিশীলতা, বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং আন্দোলনের ফলাফলকে সম্মান জানাতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও বিস্তারিত আসছে…