ডেস্ক রিপোর্ট | ৮ মে, ২০২৫
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত দাবি করেছে, পাল্টা হামলায় তারা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়। খবর এএফপি ও ইন্ডিয়া টুডের।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান গত রাতের অভিযানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার ও সিস্টেমে হামলা চালায়। এর মধ্যে লাহোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ইউনিট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
ভারতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় টার্গেট ছিল জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা ও চণ্ডীগড়, এবং গুজরাটের ভূজ। এসব স্থানে হামলার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইন্ডিয়া টুডের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানের এইচকিউ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলায় ইসরাইলের তৈরি হ্যারপ কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেছে ভারত। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে এই তথ্যের আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি।
অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করেছে, গত রাত থেকে ভারত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ইসরাইলি ড্রোন দিয়ে অন্তত ২৫টি হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এসব ড্রোন হামলা ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান বিনা উসকানিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মর্টার ও ভারি কামান থেকে গুলিবর্ষণের মাত্রা বাড়িয়েছে। এতে বুধবার (৭ মে) রাত থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন নারী ও পাঁচজন শিশু রয়েছে।
সীমান্তে এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলা ও তীব্র সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে এ ধরনের সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তার পরিণতি হতে পারে মারাত্মক।