কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারত, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আকাশযান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
৭ মে, ২০২৫ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে শিশুসহ অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫০ জনের বেশি। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, তারা পাকিস্তানের অন্তত ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা। ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তর দাবি করেছে, এই হামলায় তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং তারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, “ভূপাতিত বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে– তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন।”
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরেও তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতির অবনতির কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো— ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া— সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (CAA) দেশের সমগ্র আকাশসীমা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি, ফয়সালাবাদ, সিয়ালকোট ও কোয়েটাসহ প্রধান বিমানবন্দরগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ভারতের এই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পুরোনো টুইটার)-এ বলেন, “বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।”
এই সংঘাতের পেছনে মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে সংঘটিত একটি ভয়াবহ হামলা, যেখানে ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারত সরাসরি এই হামলার দায় ইসলামাবাদের ওপর চাপায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইরান ও রাশিয়া কূটনৈতিক মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়, তবে ভারত তা উপেক্ষা করে প্রত্যাঘাতের পথে যায়।