লাহোর, ৭ মে ২০২৫ (রয়টার্স/বিশেষ প্রতিনিধি):
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ বুধবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। হামলার জেরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মরিয়ম নওয়াজ বলেন, “ভারত হয়তো হামলা শুরু করেছে, কিন্তু শেষটা আমরা করব। পাকিস্তানের জনগণ সেনাবাহিনীর পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি জানান, চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্বে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে এক হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে, শিয়ালকোট, শকরগড় এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদে এই হামলা চালানো হয়।
ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের নয়টি স্থানে হামলা চালিয়েছে, তবে কোনও সামরিক স্থাপনা তাদের লক্ষ্য ছিল না। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে পাকিস্তান রাতেই পাল্টা আক্রমণ চালায়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ আরও জানান, “ভারতের পাঁচটি আকাশযান—including তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন—ভূপাতিত করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে সেটি সম্মানের সঙ্গে। যদি আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো জাতি একতাবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করবে।”