তেলআবিব, ৬ মে — ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে ইয়েমেনি প্রতিরোধ বাহিনীর চালানো ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাল্টা অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৫ মে) গাজা, ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়ায় একযোগে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই অভিযানে শুধু গাজা উপত্যকায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার পরপরই হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গাজা দখল নেয়ার পক্ষে মত দিলে হামলার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করেন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজার ভেতরে নতুন করে স্থল অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এতে করে ইতোমধ্যে রক্তাক্ত গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক নিউ লাইন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্যারোলাইন রোজ আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইসরায়েল যদি একসঙ্গে গাজা, ইয়েমেন, লেবানন ও সিরিয়ায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের সেনারা মানসিক ও শারীরিকভাবে চরমভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এতে সেনাবাহিনীর নৈতিক শক্তি ও অপারেশনাল সক্ষমতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”