ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে দেশের ২৪৪টি জেলায় বড় পরিসরের মক ড্রিল (মহড়া) চালানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল, বুধবার (৭ মে) থেকে এই মহড়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে অংশ নেবে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ ২৩টি জেলার ৩১টি স্থানে মহড়া পরিচালিত হবে।
কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এই মহড়ায়?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশিকায় যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
সরকারি দফতরে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন চালু করা
স্কুল, কলেজ ও সাধারণ জনগণকে মক ড্রিলে অংশগ্রহণ করানো
ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি
সাইরেন বাজলেই ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা-জানালা বন্ধ করা এবং আলো-ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা
গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান
মন্ত্রণালয়ের মতে, এই মহড়াগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো—যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের আত্মরক্ষা ও পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া। পাশাপাশি, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে শান্ত ও সচেতন থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত, সেই বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
‘সেনাদের পাশাপাশি নাগরিকদেরও থাকতে হবে প্রস্তুত’ — মোদি সরকার
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে, তাহলে শুধু সেনাবাহিনী নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকেরই দায়িত্ব হবে দেশের সুরক্ষায় অংশ নেওয়া। এই মক ড্রিলের মাধ্যমে নাগরিকদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি সরকার।
গ্রামীণ এলাকাও থাকবে মহড়ার আওতায়
শুধু শহর বা প্রশাসনিক এলাকাতেই নয়, দেশের গ্রামীণ অঞ্চলগুলোকেও এই মহড়ার আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে জনসাধারণকে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।