গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের ব্যবহৃত গাড়িকে একটি সম্পূর্ণ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এটি ছিল পোপ ফ্রান্সিসের জীবদ্দশায় ব্যক্তিগতভাবে অনুমোদিত একটি মানবিক উদ্যোগ—যা তার শেষ ইচ্ছার প্রতিফলন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই মানবিক প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন সুইডেনের কারিতাস সংস্থার মহাসচিব পিটার ব্রুন এবং জেরুজালেমের আন্তন সাফার। তাদের যৌথ উদ্যোগে গাড়িটিকে চিকিৎসা সরঞ্জাম-সজ্জিত ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে রূপান্তরের কাজ চলছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, “যদি এই গাড়িটি গাজার শিশুদের সাহায্যে আসে, তাহলে এটিকে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।” তার এই মানবিক বার্তা শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি—মৃত্যুর আগেই তিনি প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিলেন।
গাজায় পোপের ভ্রমণের একটি প্রতীক হয়ে ওঠা এই গাড়িটিতে থাকবে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর, যা গাড়িটিকে নিরাপদ রাখবে যুদ্ধাবস্থার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে।
তবে এ মানবিক প্রচেষ্টার বড় চ্যালেঞ্জ হলো—অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এই ক্লিনিকসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করানো। বর্তমানে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে, যা এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।