⭕ এটি এমপক্স (মানকিপক্স) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ।এটা খুব বেদনাদায়ক(কষ্টদায়ক) হতে পারে।মধ্য আফ্রিকার ডি আর কংগো, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, কেনিয়া, পাকিস্তান সহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পরেছে। আমাদের বাংলাদেশেও তা ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে।
‼️মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তবে অনেকেরই এই বিষয়ে ধারণা নেই। তাই মূল লক্ষণ, সংক্রমণের মাধ্যম ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করছি।

⭕মাংকিপক্স একটি ভাইরাল সংক্রামক রোগ।
সংক্রমণের ১-২১ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
✅প্রধান লক্ষণ হলো র্যাশ। ২-৪ সপ্তাহ র্যাশের পাশাপাশি নিচের লক্ষণগুলোও থাকতে পারে:
☑️ত্বকে ফুসকুড়ি
☑️ক্লান্তি
☑️কাশি
☑️জ্বর
☑️গলা ব্যাথা
☑️পিঠে ব্যথা
☑️ঠান্ডা লাগা
☑️ঠাসা নাক
☑️পেশী ব্যাথা
☑️মাথাব্যথা
☑️ফোলা লিম্ফ নোড
🔴অনেকের অসুস্থতা প্রথমে র্যাশ দিয়ে শুরু হয়। অনেকের এমন নাও হতে পারে। অনেকে চিকেন পক্স বা অন্যান্য অসুখের র্যাশের সাথে এটিকে মিলিয়ে ফেলতে পারেন। এই র্যাশ প্রথমে ফ্ল্যাট থাকে, পরে তরলপূর্ণ ব্লিস্টারে পরিণত হয়। র্যাশে ব্যথা বা চুলকানিও হতে পারে। র্যাশ একসময় শুকিয়ে ঝরে পড়ে।
🔴সাধারণত হাতের তালু, পায়ের পাতা, মুখ, গলা, কুচকি, যৌনাঙ্গ ও পায়ুতে র্যাশ বেশি হতে পারে। এর পাশাপাশি পায়ুপথে ব্যথা বা রক্তপাতও হতে পারে।
⭕এটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে:
🔴সাধারণত ত্বকে কাটা ছেঁড়া থাকলে, মিউকোসাল সারফেস যেমন মুখ, গলা, চোখ, যৌনাঙ্গের মাধ্যমে এমনকি শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে। 🔴ত্বকের মধ্যে লেসন থাকলে সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।
🔴সাধারণত স্পর্শ, চুম্বন, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে এই রোগ ছড়ায়।
🔴এমনকি ফেস টু ফেস কথা বললে, শ্বাস নিলেও ছড়াতে পারে।
🔴আক্রান্ত প্রাণীর কামড়, স্ক্র্যাচ, শিকার করা, চামড়া ছড়ানো, রান্না করা থেকেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
🔴 আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত দ্রব্য যেমন কাপড়, চাদর, সুঁই ব্যবহার করলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
🔴 আক্রান্ত গর্ভবতী মা থেকে সন্তানেও এ রোগ ছড়াতে পারে।

⭕রোগ নির্নয়:-
ত্বকের ক্ষত থেকে স্যাম্পল নিয়ে PCR বা পলিমারেজ চেইন রিএকশনের মাধ্যমে ল্যাবরেটরিতে এটি নির্নয় করা হয়।
⭕সংক্রমিত হলে কি করা উচিত:-
✅সকল ক্ষত বা স্ক্যাব ঝড়ে পড়ে নতুন চামড়া উঠা পর্যন্ত ঘরে থাকুন।
✅বাইরে বের হলে ক্ষত ঢেকে রাখুন এবং মাস্ক পরুন।
✅অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এমপক্সের উপসর্গ কমাতে পারে।
✅আপনার ডাক্তার বা আপনার স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে কল করুন
✅সাধারণত ভাইরাল অসুখগুলোর ওষুধ থাকেনা। যে যে লক্ষন থাকে সেগুলোর চিকিৎসা নিতে হয়।
✅তাই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
⭕প্রতিরোধ:-
✅কোভিডের সময় আমরা যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতাম, আবার সেই অভ্যাসগুলো ফিরিয়ে আনুন- বারবার সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
✅বিশেষ করে খাওয়ার আগে বা আপনার মুখ স্পর্শ করার আগে এবং আপনি বাথরুম ব্যবহার করার পরে। ✅আপনার সঙ্গীর সাথে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনা করুন, যেকোনো কারো সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন।
✅ অন্য কারো ব্যবহৃত সামগ্রী ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব রেখে চলুন।
✅আক্রান্ত পশুপাখি এড়িয়ে চলুন। যেসকল এলাকায় এই রোগ ছড়িয়েছে সেই এলাকায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুম।
অসুস্থতা সাধারণত 2-4 সপ্তাহ স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
⭕আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-
আপনার বা পরিচিত কারো মাংকি পক্সের লক্ষণ দেখা গেলে ১৬২৬৩ বা ১০৬৫৫ নাম্বারে কল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানাবেন।