বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাধারণ ফ্লাইটে নয়, উন্নত চিকিৎসা শেষে ফিরতে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ মে (রবিবার) তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। তবে ঠিক কোন সময়ে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্রটি জানায়, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেই খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠবেন। ইতোমধ্যে বাসভবনটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে।
দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে বিএনপির পক্ষ থেকে জোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠির ভিত্তিতে লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশন খালেদা জিয়ার ফেরার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেয়।
এর আগে বিএনপির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, খালেদা জিয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন-সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন এবং তার সঙ্গে ফিরবেন দুই পুত্রবধু ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমানও। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। দলটির পক্ষ থেকে তাঁকে বরণ করে নিতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ফিরোজা বাসভবনের সামনে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার সম্ভাবনায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।