দিল্লি, ২ মে: তীব্র ঝড়, ধূলিঝড় এবং ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ভারতের রাজধানী দিল্লি ও আশপাশের এলাকাগুলো বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে পড়ে। দ্বারকা এলাকায় প্রবল বাতাসে উপড়ে পড়া গাছ ঘরের ওপর ভেঙে পড়লে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক নারী ও তার তিন শিশু সন্তান।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ঘূর্ণিবাতাস ও অঝোর বৃষ্টির কারণে দিল্লির দৈনন্দিন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার সকালে ২০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে তিনটি ফ্লাইটকে বিকল্প এয়ারপোর্টে ডাইভার্ট করতে হয়। এর মধ্যে একটি ব্যাঙ্গালোর-দিল্লি এবং অন্যটি পুনে-দিল্লি রুটের ফ্লাইট, যা পরবর্তীতে জয়পুরে অবতরণ করে।
এছাড়া, তীব্র বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ায় ও বিদ্যুৎ লাইনে বাধা সৃষ্টির কারণে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি ট্রেন সময়মতো চলতে পারেনি। নগরীর একাধিক এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। ডুবে গেছে দ্বারকা, খানপুর, সাউথ এক্সটেনশন রিং রোড, মিন্টো রোড, লাজপত নগর এবং মতিবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু যানবাহন চলাচলই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও রাস্তার অবকাঠামোও। যদিও এখনো পর্যন্ত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামীকাল শনিবার (৩ মে) পর্যন্ত দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত ও ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।
নগরবাসীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যতটা সম্ভব ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসন। তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।