কোয়েটা, পাকিস্তান | ১ মে, ২০২৫ — ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রতিবাদে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, বিক্ষোভকারীরা ভারতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বুধবার (১ মে) আয়োজিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভকারীরা কোয়েটা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সংবলিত পোস্টার এবং ভারতবিরোধী নানা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ছিল। তারা ভারত সরকারের সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার দাবি সরাসরি নাকচ করে দেন।
“পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ,” বলেন সঞ্জয় কুমার। তিনি আরও যোগ করেন, “যদি ভারত কোনো ধরনের আগ্রাসনের চেষ্টা করে, তবে দেশের এক কোটি হিন্দু সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াবে।” তার দাবি, পাকিস্তান কখনোই সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না, বরং ভারতই পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কয়েকজন নারী নেত্রীও। তারা ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেন। তাদের মতে, “আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পানি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, যা এক ধরনের জল-আক্রমণ।”
শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া এই সমাবেশে আয়োজকরা জানান, ভারতের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও জোরালো প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।