কাশ্মির সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে। টানা সপ্তম রাতেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) সংলগ্ন বিভিন্ন সেক্টরে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে জম্মু-কাশ্মিরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনুর সেক্টরের বিভিন্ন পয়েন্টে চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি। বৃহস্পতিবার (১ মে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ হতাহতের তথ্য জানায়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনারা প্রথমে বিনা উসকানিতে গুলি চালায়। জবাবে সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত ভারতীয় সেনারা পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কয়েকদিন আগেই পেহেলগাম এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয় ২৬ জন। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়, যা এখন প্রতিরাতেই গোলাগুলির রূপ নিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক এ সংঘর্ষ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও সংকট সৃষ্টি করতে পারে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে এমন সংঘর্ষ ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিতে পারে বলেও মত বিশ্লেষকদের।
সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক পরিবার ইতোমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২০০৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা বহুবার লঙ্ঘিত হয়েছে। ২০২1 সালে আবারও যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক এসব গোলাগুলির ঘটনায় সেই চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।