নয়াদিল্লি, ৩০ এপ্রিল:
কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে নেওয়া কড়াকড়ি সিদ্ধান্তে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন পাকিস্তানি নাগরিকরা। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি ও নাগরিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় সব পাকিস্তানি নাগরিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ভারতীয় শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে পাঞ্জাবের আত্তারি সীমান্তে শতাধিক পাকিস্তানি নাগরিক জড়ো হন। এদের মধ্যে কেউ স্বেচ্ছায় ফিরছেন, আবার কাউকে জোরপূর্বক সীমান্তে পাঠিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কেবলমাত্র চিকিৎসা ভিসাধারী পাকিস্তানি নাগরিকরা এই নির্দেশনার বাইরে থাকবেন। বাকিদের জন্য গত রোববার (২৭ এপ্রিল) ছিল ভারত ছাড়ার সর্বশেষ সময়সীমা। তবে সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো বহু পাকিস্তানি নাগরিক ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে আজ (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ এপ্রিল পেহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর এটিই ছিল তার প্রথম নিরাপত্তা সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এবং সন্ত্রাসবিরোধী কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
পেহেলগামের ওই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও নিরাপত্তা সতর্কতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের জাতীয় সংকল্প। সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। প্রতিশোধের সময়, পদ্ধতি ও লক্ষ্য নির্ধারণে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রতি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।