ঢাকা, ২৯ এপ্রিল — মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী এবং জনপ্রিয় মডেল মেঘনা আলম অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এই জামিনের আদেশ দেন।
গত ১৭ এপ্রিল মেঘনা আলমকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ আরও কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এক বিদেশি কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন। এ ঘটনায় মামলাটি বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মেঘনা আলমকে আটক করে। পরদিন ডিবির আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাকে ‘ডিটেনশন আইন’-এ ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন মেঘনা আলমকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় হেফাজতে রাখার বৈধতা নিয়ে। বিষয়টি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
মেঘনা আলমের আইনজীবীরা জানান, তাদের মক্কেল নির্দোষ এবং মামলাটি পরিকল্পিতভাবে দায়ের করা হয়েছে। জামিন পাওয়ার পর তার মুক্তি প্রসঙ্গে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জানান, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সব অভিযোগের সুষ্ঠু মোকাবিলা করা হবে।
মডেল ও শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ মেঘনা আলমের এই ঘটনা নিয়ে চলমান বিতর্ক এখন নতুন মোড় নিচ্ছে। জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা চলমান থাকায় এখনও তাকে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।