গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন কোনো শাসক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে দেশের নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশকে বিপদের মুখে না ফেলে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের এক বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এ বৈঠক করে।
বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক আহ্বান জানান, আলোচনার মাধ্যমে যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো ঠিক হবে, তা যেকোনো মূল্যে বর্তমান সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং ২০১৮ সাল থেকে নবীন দল গণ অধিকার পরিষদ মামলা, হামলা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে।
বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী নতুন ধাপ, যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।
তিনি জানান, সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলতে থাকবে এবং দ্রুত একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে।
সংস্কার ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, কেবল আলোচনায় থেমে থাকলে চলবে না, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে হবে।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও মনির হায়দার অংশ নেন।
গণ অধিকার পরিষদ থেকে সভাপতির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেয়। এ দলে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম এবং গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ ।