ইসলামাবাদ, ২৫ এপ্রিল:
কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতের কঠোর হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) থেকে শুরু করে সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ভারতবিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয় শহরগুলোর রাজপথ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দেওয়া বক্তব্যে পহেলগাম হামলার জন্য দোষীদের ছাড় না দেয়ার অঙ্গীকার করেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সীমান্ত সন্ত্রাসে’ মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনার পর নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, যার জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে পাকিস্তানও।
মুজাফ্ফরাবাদের কেন্দ্রীয় শহরে অনুষ্ঠিত এক বিশাল বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজারো সাধারণ মানুষ। তাদের হাতে ছিল ভারতবিরোধী নানা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড। স্থানীয় দলগুলোর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আজমল বালুচ। তিনি বলেন, “ভারত যদি যুদ্ধে যেতে চায়, তাহলে সামনে এসে লড়ুক। পাকিস্তানের জনগণ ভয় পায় না।”
সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিলের হুমকি এবং ভারতের ‘অগ্রহণযোগ্য’ বক্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা।
২৫ বছর বয়সী মুহাম্মদ ওয়াইস বলেন, “পানি আমাদের অধিকার এবং আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা তা পুনরুদ্ধার করব। প্রয়োজনে যুদ্ধ করেও এই অধিকার আদায় করব।”
বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায়ও বৃহস্পতিবার বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মানুষজন ভারতের হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানান।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনিয়র নেতা জাভেদ মীর বলেন, “ভারত যদি আক্রমণ করার মতো ভুল করে, তাহলে পাকিস্তানি কাশ্মীরিরা সামনের সারিতে লড়াই করবে। আমরা পাকিস্তানের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত।”