ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক সন্ত্রাসী হামলা। হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত দেশে ফিরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে ফিরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে বসে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পাঁচটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি, যা দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া প্রধান পাঁচ সিদ্ধান্ত:
১. ইন্দুস পানি চুক্তি বাতিল: ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই ঐতিহাসিক পানি বণ্টন চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে জলসম্পদ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।
২. সার্ক ভিসা বন্ধ: পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
৩. আটারি সীমান্ত বন্ধ: ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ আটারি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৪. হাইকমিশনের কর্মী প্রত্যাহার: ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে সব কূটনৈতিক কর্মীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫. পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল: বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা টার্গেট করে নির্দিষ্ট পরিচয়ের লোকদের হত্যা করেছে। কাশ্মিরভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্য রেসিসটেন্স ফোর্স (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে ভারত সরকার এই হামলা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। আহতদের সংখ্যা নিয়েও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।