কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৪ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে এই বর্বর হামলার ঘটনা ঘটে। একদল অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারী আচমকা গুলি চালায় পর্যটকদের একটি দলের ওপর। হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে ঘটনাস্থলেই বহু প্রাণ ঝরে যায়।
এ ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি ভারতের পাশে থাকার এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় এই ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে যাবে।”
এর আগে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লেখেন, “কাশ্মীরের খবরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলিষ্ঠভাবে ভারতের পাশে রয়েছে।”
হামলার পরপরই তিনটি ভিন্ন নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০, ২৪ ও ২৬। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যাটি নিশ্চিত করা হয়নি। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৬ জন হতে পারে। অন্যদিকে, ডন পত্রিকা এএফপি-কে উদ্ধৃত করে জানায়, এই হামলায় অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
জানা গেছে, হামলাটি ঘটে জম্মু-কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পহেলগামের একটি মাঠে। কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই সেখানে উপস্থিত পর্যটকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত উদ্ধার অভিযানে নামে।
এ হামলার পেছনে কে বা কারা জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
কাশ্মীরে এই রক্তক্ষয়ী হামলা আবারও অঞ্চলটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নিরাপরাধ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছে।
স্থান: পহেলগাম, জম্মু-কাশ্মীর
সময়: ২২ এপ্রিল, দুপুর ২:৩০ (স্থানীয় সময়)
নিহত: অন্তত ২৪ জন পর্যটক
আহত: একাধিক