ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ও সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা দেখেছেন, কেবলমাত্র ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে এই বিশাল যানজট সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছেন।
- ট্রাফিক পুলিশের লোকবল বৃদ্ধি
টানা ৪ দিন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করা জুহি জান্নাত, একজন শিক্ষার্থী, বলেন, “অল্প কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে পুরো শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব।” শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, লোকবল বাড়ানো দরকার। এমনকি আনসার বা এপিবিএনের সদস্যদেরকেও এই কাজে সহায়ক হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। - অভ্যাসের পরিবর্তন
শিক্ষার্থীরা লক্ষ্য করেছেন, দেশের মানুষের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম না মানার প্রবণতা খুবই বেশি। ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শিক্ষার্থী বায়জিদ হোসেন জানান, “ট্রাফিকের নিয়ম-কানুনের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ানো উচিত।” স্কুল পর্যায় থেকে ট্রাফিক নিয়ম শেখানোর প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের আলোচনা থেকে। - লেন মেনে চলা
বড় এবং ছোট গাড়িগুলোকে আলাদা লেনে রাখতে চেষ্টা করেছেন শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজের দেলোয়ার হোসেন বলছেন, “যানজট কমাতে এবং জরুরি কার্যক্রমে নিয়োজিত যানবাহনের গতিরোধের জন্য লেন মেনে চলা জরুরি।” - ফিটনেস জরুরি
শিক্ষার্থীরা লক্ষ করেছেন যে, ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণে সড়কে বেপরোয়া ভাব দেখা দেয়। “লোকাল বাস এবং অটোরিকশাগুলোর ব্রেকের অবস্থাও ভালো নয়,” উল্লেখ করেন স্টেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান। - গাড়ি থামার নির্দিষ্ট জায়গা
বাস, রিকশা, সিএনজি, এবং ভাড়ায় চালিত বাইকগুলোর জন্য নির্দিষ্ট থামার জায়গা থাকা জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী সাদিয়া ইসলাম বলেন, “যেখানে-সেখানে গাড়ি থামানো যানজটকে বাড়িয়ে দেয়।”
শিক্ষার্থীদের এই অভিজ্ঞতা ও সুপারিশগুলো ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উন্নতি আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।