বেইজিং, ২১ এপ্রিল: হংকং-সংক্রান্ত বিষয়ে ‘অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপের’ জবাবে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও কিছু বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রধানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। সোমবার (২১ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক্ষেপের কথা জানায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “হংকং সম্পর্কিত বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিষয়ে যেকোনো ভুল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চীন কঠোর ও দৃঢ় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।”
চীনের এই পদক্ষেপ আসে এমন এক সময়, যখন চলতি মাসের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র ছয়জন ঊর্ধ্বতন চীনা ও হংকং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ—হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করে তারা ১৯ জন গণতন্ত্রপন্থি কর্মীকে ভয় দেখানো, দমন এবং হয়রানি করেছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক এবং আরও চারজন মার্কিন বাসিন্দা রয়েছেন বলেও জানানো হয়।
ওয়াশিংটনের দাবি, হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং স্বায়ত্তশাসনের অবক্ষয় রোধে তারা এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে বেইজিং এর জবাবে বলেছে, এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের মাঝখানে এই নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞার খেলা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করছে।
চীনের এই পদক্ষেপ শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেওয়া নয়, বরং হংকংয়ের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলায় নিজেদের দৃঢ় অবস্থানও প্রকাশ করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।