আন্তর্জাতিক বাজারে নতুন রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ডলারের মান কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন, যার ফলে স্বর্ণের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার (২১ এপ্রিল) স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৩৮৩.৮৭ ডলার, যা শুরুতে সর্বোচ্চ ৩,৩৮৪ ডলারে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি আউন্স ৩,৩৯৬.১০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন অর্থনীতির সম্ভাব্য মন্দা বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের মতো নিরাপদ আশ্রয়ে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করছে।
আইজি মার্কেটসের কৌশল বিশ্লেষক ইয়াপ জুন রং বলেন, “বাজার এখন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নীতি ও সম্ভাব্য মন্দাকে ঘিরে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর টেকসই স্বর্ণ কেনার প্রবণতাও মূল্য বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।” তিনি আরও যোগ করেন, স্বর্ণের দাম স্বল্পমেয়াদে কিছুটা অতিরিক্ত বেড়ে গেলেও পরবর্তী মাইলফলক হতে পারে ৩,৫০০ ডলার।
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১,৬৭,৮৩৩ টাকায়, যা এ যাবৎকালের রেকর্ড মূল্য।
এছাড়া—
২১ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,৬০,২০৫ টাকা
১৮ ক্যারেট স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,৩৭,৩০৯ টাকা
সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: প্রতি ভরি ১,১৩,৪৯১ টাকা
বিনিয়োগ, বিয়ের মৌসুম এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে স্বর্ণের দাম এখন বিশ্বব্যাপী নজরকাড়া অবস্থানে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, স্বর্ণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ করে দামের অতিরিক্ত বৃদ্ধি বিবেচনায় রেখে।